৩০শে পৌষ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ মহা উত্তরায়ণ সংক্রান্তি। পৌষমাসের শেষ বলে এটি পৌষ সংক্রান্তি বলেও খ্যাত। মহাভারতের যে ভীষ্ম পর্বের ২৩-৪০ অধ্যায়াব্দি অন্তর্গত যে শাস্ত্র তাই শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা নামে জগদ্বিখ্যাত। মহাভারতের মহাপ্রাণ এই প্রতিজ্ঞামূর্তি মহামহিম ভীষ্ম পিতার আশীর্বাদে স্বেচ্ছামৃত্যু বর লাভ করেছিলেন।
বৈরীপক্ষাবলম্বী হওয়ায় অর্জুনের অজস্র শরাঘাতে ধরাশায়ী ভীষ্ম সেই স্বেচ্ছামৃত্যু বরটি ব্যবহার করে এই উত্তরায়ণের দিনেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। এই উত্তরায়ণ তত্ত্বের উপর বেদ, গীতা তথা মহাভারত, ছান্দোগ্য ও বৃহদারণ্যক উপনিষদ, বেদান্ত ও আরো অনেক গ্রন্থে বিশদ উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যাও বিশদ। তবে সংক্ষেপে, দক্ষিণায়ণ,কৃষ্ণপক্ষ, রাত্রিরূপ অজ্ঞতার অন্ধকার কাটিয়ে উত্তরায়ণ, শুক্লপক্ষ, দিবারূপ ব্রহ্মজ্ঞানানুভূতিরূপ জ্যোতির্ময় জগত নির্দেশ করাই এর উদ্দেশ্য। এ নিয়ে অনেক কথা। জিজ্ঞাসিত হয়ে পরে বলবো।
আজ তাঁর উদ্দেশ্যে একটুখানি মন্ত্রবারি অর্পণ করে নিজেকে ধন্য মনে করি।
ওঁ নমঃ বৈরাগ্যপদ্যগোত্রায় সাংকৃতি প্রবরায় চ। অপুত্রায় দদামৈতদ্ সলিলং ভীষ্মবর্মণে।।
বৈরাগ্যপদ্যগোত্রান্তর্গত সাংকৃতিপ্রবর অপুত্রক গঙ্গাপুত্র ভীষ্মবর্মণের উদ্দেশ্যে আজ আমরা সমগ্র মানবজাতিই গঙ্গাজলেই গঙ্গাপুত্রের পূজা করি।