সনাতন ধর্ম অর্থাৎ হিন্দু ধর্ম নিয়ে প্রচলিত অনেক ভুল ধারণা রয়েছে সমাজে। অথচ এগুলো একেবারেই ভিত্তিহীন। এমন পাঁচটি ধারণার আজ তুলে ধরা হলো।
১. হিন্দু ধর্মে ৩৩ কোটি দেবদেবী :
হিন্দু ধর্মে ৩৩৩ কোটি দেবদেবী রয়েছে বলে প্রচলিত, অথচ তা সত্যি নয়। কারণ হিন্দু ধর্ম এক পরম ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসী। সেই ঈশ্বর মানুষের চিন্তা বা কল্পনার অতীত। কাজেই নিজের সুবিধামতো রূপে ঈশ্বরকে কল্পনা করে নেয়ার অধিকার ভক্তকে দিয়েছে হিন্দু ধর্ম।
হিন্দু ধর্মে ৩৩৩ কোটি দেবদেবী রয়েছে বলে প্রচলিত, অথচ তা সত্যি নয়। কারণ হিন্দু ধর্ম এক পরম ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসী। সেই ঈশ্বর মানুষের চিন্তা বা কল্পনার অতীত। কাজেই নিজের সুবিধামতো রূপে ঈশ্বরকে কল্পনা করে নেয়ার অধিকার ভক্তকে দিয়েছে হিন্দু ধর্ম।
২. হিন্দুরা মূর্তিপূজারী :
হিন্দুধর্মে যে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা প্রচলিত রয়েছে, তা আসলে সেই এক পরমেশ্বরেরই বিভিন্ন রূপ। তাছাড়া মূর্তির পূজা হয় না, পূজা হয় ঈশ্বরের। মূর্তিটি সেই ঈশ্বরের একটি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বহিঃপ্রকাশ মাত্র। পরমেশ্বর যেহেতু মানুষের সীমিত কল্পনার অতীত, সেহেতু তার একটি স্পর্শগম্য মূ্র্তি নির্মাণ করে নেয় হিন্দুরা, যাতে ভক্ত তার প্রার্থনা বা অভিযোগ নিবেদনের একটি সুস্পষ্ট ক্ষেত্র পায়।
হিন্দুধর্মে যে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা প্রচলিত রয়েছে, তা আসলে সেই এক পরমেশ্বরেরই বিভিন্ন রূপ। তাছাড়া মূর্তির পূজা হয় না, পূজা হয় ঈশ্বরের। মূর্তিটি সেই ঈশ্বরের একটি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বহিঃপ্রকাশ মাত্র। পরমেশ্বর যেহেতু মানুষের সীমিত কল্পনার অতীত, সেহেতু তার একটি স্পর্শগম্য মূ্র্তি নির্মাণ করে নেয় হিন্দুরা, যাতে ভক্ত তার প্রার্থনা বা অভিযোগ নিবেদনের একটি সুস্পষ্ট ক্ষেত্র পায়।
৩. হিন্দু ধর্ম জাতপাতের বিভাজনে বিশ্বাসী :
ধর্মে নয়, আসলে সমাজে প্রচলিত জাতপাতের বিভাজনটি। এই বিভাজনের মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে পেশাগত পার্থক্য। আদি ভারতীয় সমাজে বিভিন্ন পেশার মানুষের প্রতি সমাজের আলাদা রকমের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে জাতপাতের বিভাজনের উৎপত্তি। এর সঙ্গে ধর্মের প্রত্যক্ষ কোনো যোগ নেই।
ধর্মে নয়, আসলে সমাজে প্রচলিত জাতপাতের বিভাজনটি। এই বিভাজনের মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে পেশাগত পার্থক্য। আদি ভারতীয় সমাজে বিভিন্ন পেশার মানুষের প্রতি সমাজের আলাদা রকমের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে জাতপাতের বিভাজনের উৎপত্তি। এর সঙ্গে ধর্মের প্রত্যক্ষ কোনো যোগ নেই।
৪. হিন্দুরা অদৃষ্টবাদী :
আসলে হিন্দুরা কর্মফলবাদী। হিন্দু ধর্মে বলা হয়েছে, নিজের কর্মের মাধ্যমে নিজের নিয়তি নির্মাণের অধিকার প্রতিটি মানুষের রয়েছে। সৎ কর্মের ফলে মানুষ যেমন পুরস্কৃত হবে, তেমনই দুষ্কর্মের শাস্তিও তাকে পেতে হবে। জীবনের চরম লক্ষ্য হবে মোক্ষ অর্জনের মাধ্যমে আত্মাকে মুক্ত করা।
আসলে হিন্দুরা কর্মফলবাদী। হিন্দু ধর্মে বলা হয়েছে, নিজের কর্মের মাধ্যমে নিজের নিয়তি নির্মাণের অধিকার প্রতিটি মানুষের রয়েছে। সৎ কর্মের ফলে মানুষ যেমন পুরস্কৃত হবে, তেমনই দুষ্কর্মের শাস্তিও তাকে পেতে হবে। জীবনের চরম লক্ষ্য হবে মোক্ষ অর্জনের মাধ্যমে আত্মাকে মুক্ত করা।
৫. ‘ভগবদ্গীতা’ হল হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ :
‘গীতা’ একটি ধর্মবিষয়ক গ্রন্থ, যার মূল উদ্দেশ্য ধর্মদর্শনের আলোচনা। অবশ্য হিন্দুধর্মাবলম্বীদের অনেকে গীতাকেই মূল ধর্মগ্রন্থ বলে মনে করেন।
‘গীতা’ একটি ধর্মবিষয়ক গ্রন্থ, যার মূল উদ্দেশ্য ধর্মদর্শনের আলোচনা। অবশ্য হিন্দুধর্মাবলম্বীদের অনেকে গীতাকেই মূল ধর্মগ্রন্থ বলে মনে করেন।
By : swadhinata71.com