ইলা সরস্বতী মহী তিস্রো দেবীর্ময়োভুবঃ।
বর্হিঃ সীদং-ত্বস্রিধঃ।
ঋগ্বেদ,১/১৩/৯
মাতৃভাষা, মাতৃসভ্যতা ও মাতৃভূমি এই তিন দেবী কল্যাণ দান করেন। এই তিন দেবতা আমাদের অন্তঃকরণে স্থায়ী ভাবে অবস্থান করুক।
বিশ্বংভরা বসুধানী প্রতিষ্ঠা হিরন্যবক্ষা
জগতা নিবেশনী বৈশ্বানরং বিভ্রতি
ভূমিরগ্নিমিদ্র ঋষভা দ্রবিনে নো দধাতু (অথর্ববেদ ১২|১|৬)
বিশ্বম্ভরা,বসুধা, সর্বধার, স্বর্ণপ্রসূ, জীবনিবাস, জনগণের ধাত্রী,পরমাত্মার স্নেহসিক্তা মাতৃভূমি আমাকে সমৃদ্ধশালী করুক।
অন্ততঃ ৫০০০ বছর আগেই ঋগ্বেদের শৌনকীয় প্রাতিশাখ্যে
ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম
ইত্যাদি অঘোষ অল্পপ্রাণ মহাপ্রাণ, ঘোষ অল্পপ্রাণ মহাপ্রাণ ও তাদের প্রিয় বোনের মতো নাসিক্য পঞ্চম বর্ণের যে চমৎকার বর্ণ বিন্যাস তা করা হয়েছিল তা সত্যিই বিশ্ময়কর! তারি সুবাদে আজ এই বাংলা ভাষার জন্য এত বলিদানের প্রেরণা!
ভাষা শহীদদের সাথে কি আমরা তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি?
আর যদি না তবে আমাদের অর্থহীন এই ভিত্তিহীন ভাষা প্রেম! ভূয়া সব লোক দেখানো দেশপ্রেম। দেশাত্মবোধের অন্তরে যেমন ভাষাপ্রেম তেমনি ভাষাপ্রেমের ভেতর লুকিয়ে আছে ঐ ঋগ্বেদীয় শৌনক প্রমূখ ঋষি। যেমন ফুলের মধ্যে মাটির মমতারস পরিপূর্ণ এবং যাদের সাজানো বাগানের ফুল নিয়ে কবি সাহিত্যিকগণ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন! আর তারি সুপ্রভাবে বীর বাঙ্গালিরা এই ভাষার জন্য অকাতরে প্রাণ পর্যন্ত বিসর্জন দিয়েছেন! মূল সত্য জানলেই তবে কৃতজ্ঞতা যথার্থ হয়!
মাতৃভাষার জন্য আত্মবলীদানকারী সেই বীর শহীদের রক্তে পাওয়া বাংলা।
যারা পাকি দের ভালবাসো
তারা আর একবার ২১ স্মরণ করো।
মাতৃভাষা আর মাতৃভূমি রক্ষার্তে সারাজীবন যুদ্ধ করে যাবো।