আসুন প্রথমেই জেনেনি গুরু সম্পর্কে উইকিপিডিয়া কী বলছেঃ-
গুরু (সংস্কৃত: गुरु) হলেন আধ্যাত্মিক জগতের পথ প্রদর্শক। তিনি অধ্যাত্মজ্ঞান প্রদান করেন। পিতামাতা, বিদ্যালয় শিক্ষক, জড়পদার্থ (যেমন বই) বা নিজের বৌদ্ধিক সত্ত্বাকেও গুরু নামে অভিহিত করার প্রথা রয়েছে।
সনাতন হিন্দুধর্ম সহ ভারতীয় ধর্মসমূহে এবং নব্য ধর্মীয় আন্দোলনগুলিতে গুরু বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী। এই সকল ধর্মে আত্মজ্ঞান লাভের জন্য গুরুর সাহচর্য অপরিহার্য বলে মনে করা হয়। আধুনিক ভারতে "গুরু" কথাটি "শিক্ষক" অর্থে বহুল ব্যবহৃত। পাশ্চাত্য জগতে অবশ্য যাঁর কিছু অনুগামী রয়েছে, তাঁকেই গুরু বলা হয়; তার জন্য তাঁকে ধর্মীয় বা দার্শনিক মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা হতে হয় না।
এ থেকে বুঝা যায় আমাদের জীবনে ৫ জন গুরুর প্রভাব রয়েছে। যারা হলেন মাতা গুরু, পিতা গুরু, গুরু বড় ভাই/ বোন, তার পরে শিক্ষা গুরু ও দীক্ষা গুরু।
এখন আমার একটা প্রশ্ন জাগলো যে আমরা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৪ জন গুরুকে গুরুত্ব না দিয়ে ৫ নাম্বার গুরুকে কেন নিজের জীবন সঁপে দিই। এরা তো বৈদিক গুরু নন যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের পাশে থাকবে? বছরে কোনো দিন যদি দেখা পায় তবে পরম গুরুর চরণামৃত খাওয়ার জন্য লাইন ধরি। সব দীক্ষা গুরু যে একই রকম সেটা কিন্তু নয়।
এখন চলুন গুরুবাদের কিছু যুক্তি দেয়া যাকঃ-
১)সঠিক পথের সন্ধান পাবার জন্য গুরু বা পথ প্রর্শকের প্রয়জন আছে যদি তিনি ঈশ্বরের বানী পবিত্র বেদের আলোকে শিক্ষা দেন কিন্তু শুধু মাত্র পথ দেখানোর উপকারের প্রতিদানে তার প্রতি অন্ধ ভক্তি বা গুরুকে ঈশ্বরের আসনে বসানো কতটা যুক্তি যুক্ত ?কারো এর উত্তর যানা থাকলে যানাবেন কি?
.
২)যেই গুরু শিষ্যকে ঈশ্বরকে পাবার সন্ধান দিতে গিয়ে নিজেকেই ঈশ্বরের সম প্রর্যায়ের সম্মানের অধিকারী রূপে প্রতিক্টা করে বা শিষ্যের কাছ থেকে ঈশ্বর সুলভ সেবা নেয় সেই গুরুরা কি ভাবে ঈশ্বরের আলোর পথের সন্ধানদাতা হোন?ঈশ্বরের আলোর পথের কথা বলে কি তারা সরল অজ্ঞানী সাধারণ মানুষকে অজ্ঞতার অন্ধকার পথে ঠেলে দিচ্ছে না?
.
৩)অধিকাংশ বৈষ্ণব গুরু নিজে কারো রান্না করা খাবার খাননা আবার নিজের হাত মাখানো উৎছিক্ট খাবার ভক্তদের প্রশাদ হিসাবে খেতে দেয় ! আবার গুরুর পা ধোয়া জল ভক্তদের পান করতে দেন !! একটু ভাবুন যেই ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন তিনি এরকম করবেন ?এটা কি ঈশ্বরের সৃষ্টির অবমাননা নয় ?
.
৫)অনেকেই খুরা যুক্তি দেখায় যে কেউ যদি রাষ্টের প্রধানের কাছে যাবার ইচেছ পোষণ করে তাহলে সরাসরি যাওয়া সম্ভব নয় যে কোনও মাধ্যম বা তার সাথে সম্পক আছে এমন কোনও ব্যাক্তিকে (গুরু )দরে বা তাকে সন্তুষ্ট করে পৌছানো সম্ভব ! কথাটি কি রাজার কাছে পৌছানোর জন্য রাজ্যের চৌকিদারকে ঘোষ দেওয়ার মতো লাগছে না?ঘোষ দেওয়া তাও স্বার্থক হতো যদি চৌকিদার ধরে রাজার কাছে পৌছানো যেত ,যেই গুরু অন্য কে মুক্তির গ্যারান্টি দিয়ে বেড়ায় সে যে নিজে ঈশ্বরের কাছে পৌছবে বা মুক্তি লাভ করবে তার গ্যারান্টি কি?
.
৪)আপনার আরাধ্য আপনার গুরুদেব ,আর আপনার গুরুদেবের সহ সবার আরাধ্য ঈশ্বর ।তাহলে গুরু আর ঈশ্বর সমান হলো কি করে?অথচ এই সকল বৈষনব গুরুরা প্রচার করে বেড়ায় গুরু ব্রহ্মা,গুরু বিষ্ণু ,গুরুদেব মহেশ্বর !! মহা মক্র ! আবার বলে বেড়ায় কৃষ্ণের (বৈষ্ণবদের ভাষায় ঈশ্বরের )কাছে অপরাধ করলে গুরুর সুপারিশে ঈশ্বর ক্ষমা করে দিবেন ।কিন্তু গুরু অসন্তুষ্ট হলে কৃষ্ণ ও ক্ষমা করতে পারবেন না ! এখনে ঈশ্বরের ক্ষমতা কি খর্ব করা হলো না ?এ ধরনের অন্ধ ভক্তিমূলক কথা আবার তারা স্বলিখিত ভক্তিরসামৃত বই লিখে ঈশ্বরের বানী বলে প্রচার করে বেড়ায় ! পবিত্র বেদ হিন্দু ধর্মের একমাত্র শ্রুতি (যা সরাসরি ঈশ্বরের কাছ থেকে শোনা )ঈশ্বরের বানী ছাড়া আমার আপনার কথা অন্ধ বিশ্বাসে মেনে চলা কতটা যুক্তি যুক্ত?
২)যেই গুরু শিষ্যকে ঈশ্বরকে পাবার সন্ধান দিতে গিয়ে নিজেকেই ঈশ্বরের সম প্রর্যায়ের সম্মানের অধিকারী রূপে প্রতিক্টা করে বা শিষ্যের কাছ থেকে ঈশ্বর সুলভ সেবা নেয় সেই গুরুরা কি ভাবে ঈশ্বরের আলোর পথের সন্ধানদাতা হোন?ঈশ্বরের আলোর পথের কথা বলে কি তারা সরল অজ্ঞানী সাধারণ মানুষকে অজ্ঞতার অন্ধকার পথে ঠেলে দিচ্ছে না?
.
৩)অধিকাংশ বৈষ্ণব গুরু নিজে কারো রান্না করা খাবার খাননা আবার নিজের হাত মাখানো উৎছিক্ট খাবার ভক্তদের প্রশাদ হিসাবে খেতে দেয় ! আবার গুরুর পা ধোয়া জল ভক্তদের পান করতে দেন !! একটু ভাবুন যেই ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন তিনি এরকম করবেন ?এটা কি ঈশ্বরের সৃষ্টির অবমাননা নয় ?
.
৫)অনেকেই খুরা যুক্তি দেখায় যে কেউ যদি রাষ্টের প্রধানের কাছে যাবার ইচেছ পোষণ করে তাহলে সরাসরি যাওয়া সম্ভব নয় যে কোনও মাধ্যম বা তার সাথে সম্পক আছে এমন কোনও ব্যাক্তিকে (গুরু )দরে বা তাকে সন্তুষ্ট করে পৌছানো সম্ভব ! কথাটি কি রাজার কাছে পৌছানোর জন্য রাজ্যের চৌকিদারকে ঘোষ দেওয়ার মতো লাগছে না?ঘোষ দেওয়া তাও স্বার্থক হতো যদি চৌকিদার ধরে রাজার কাছে পৌছানো যেত ,যেই গুরু অন্য কে মুক্তির গ্যারান্টি দিয়ে বেড়ায় সে যে নিজে ঈশ্বরের কাছে পৌছবে বা মুক্তি লাভ করবে তার গ্যারান্টি কি?
.
৪)আপনার আরাধ্য আপনার গুরুদেব ,আর আপনার গুরুদেবের সহ সবার আরাধ্য ঈশ্বর ।তাহলে গুরু আর ঈশ্বর সমান হলো কি করে?অথচ এই সকল বৈষনব গুরুরা প্রচার করে বেড়ায় গুরু ব্রহ্মা,গুরু বিষ্ণু ,গুরুদেব মহেশ্বর !! মহা মক্র ! আবার বলে বেড়ায় কৃষ্ণের (বৈষ্ণবদের ভাষায় ঈশ্বরের )কাছে অপরাধ করলে গুরুর সুপারিশে ঈশ্বর ক্ষমা করে দিবেন ।কিন্তু গুরু অসন্তুষ্ট হলে কৃষ্ণ ও ক্ষমা করতে পারবেন না ! এখনে ঈশ্বরের ক্ষমতা কি খর্ব করা হলো না ?এ ধরনের অন্ধ ভক্তিমূলক কথা আবার তারা স্বলিখিত ভক্তিরসামৃত বই লিখে ঈশ্বরের বানী বলে প্রচার করে বেড়ায় ! পবিত্র বেদ হিন্দু ধর্মের একমাত্র শ্রুতি (যা সরাসরি ঈশ্বরের কাছ থেকে শোনা )ঈশ্বরের বানী ছাড়া আমার আপনার কথা অন্ধ বিশ্বাসে মেনে চলা কতটা যুক্তি যুক্ত?
.
৫)বৈদিক ঋষিরা তাদের শিষ্যদের বেদ উপনিষদের জ্ঞান শিক্ষা দিতেন গুরুকুলে ।আর এখনকার গুরুবাদিরা বেদতো জানেই না উপনিষদের জ্ঞান ও আছে কিনা সন্দেহ ! তারা শিক্ষা দিক্ষা দেন গোপন মন্তে ! এটা নাকি বীজ মন্ত ! বীজ যেমন মাটিতে পুতে গোপন না করলে অংকুরিত হয় না তেমনই মন্ত্র গোপনে না জপলে তা সিদ্ধি লাভ করে না !কি চমৎকার উদাহরণ ! তা আমরাতো জানি মাটিতে পোতা ছাড়াও বীজ অঙ্কুরিত হতেপারে ।আর ঈশ্বরে মহিমা বট বৃক্ষের মতোই স্বয়ংভূ ঈশ্বরের সন্ধান পেতে কেন লুকিয়ে বীজ মন্ত্র জপ করা লাগবে? ঈশ্বরের আলোতো বট বৃক্ষের মতোই যার বীজ বা চারা রোপনের প্রয়োজন নেই ঈশ্বরের কৃপা চাইলে ঈশ্বর নিজেই তার মজ্ঞলময় আলো প্রকাশিত করার ব্যবস্তা করে দেন ।শুধু প্রয়োজন তাকে জানার ইচ্ছা ও চেষ্টা ।চেষ্টা থাকলে গুরুর প্রয়োজন লাগে না ।কেউ যদি সফল হয় তা তার সমপূর্ন নিজের কৃতিত্ব এতে গুরুর কৃতিত্ব কতটুকু ?ঐ সাফল্যের কৃতিত্ব ৯৮%ই ঐ সফল লোকটির নয় কি ? নিজ চেষ্টাতে লক্ষে পৌছানোর উদাহরণ পৃথিবীতে প্রচুর ,মহাভারতের গুরুবিহীন একলব্যের পৃথিবীর সেরা তীরন্দাজ হওয়ার সাধনায় সফল হওয়া এমনই একটি উদাহরণ ।
.
৬)ॐ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের সর্বোক্তম ও সর্বোচচ নাম ।গীতা ৮,১০ এবং ৮,১৩ অধ্যায়ে বলা আছে ঈশ্বরের ॐ নাম জপ করার জন্য তাছাড়া তিব্বতি মহাযানী বুদ্ধরা ॐ নাম জপ করে থাকে ।ঈশ্বরের নাম না জপে কেন গুরুদের স্বআবিষ্কৃত নাম জপ করবেন?
৫)বৈদিক ঋষিরা তাদের শিষ্যদের বেদ উপনিষদের জ্ঞান শিক্ষা দিতেন গুরুকুলে ।আর এখনকার গুরুবাদিরা বেদতো জানেই না উপনিষদের জ্ঞান ও আছে কিনা সন্দেহ ! তারা শিক্ষা দিক্ষা দেন গোপন মন্তে ! এটা নাকি বীজ মন্ত ! বীজ যেমন মাটিতে পুতে গোপন না করলে অংকুরিত হয় না তেমনই মন্ত্র গোপনে না জপলে তা সিদ্ধি লাভ করে না !কি চমৎকার উদাহরণ ! তা আমরাতো জানি মাটিতে পোতা ছাড়াও বীজ অঙ্কুরিত হতেপারে ।আর ঈশ্বরে মহিমা বট বৃক্ষের মতোই স্বয়ংভূ ঈশ্বরের সন্ধান পেতে কেন লুকিয়ে বীজ মন্ত্র জপ করা লাগবে? ঈশ্বরের আলোতো বট বৃক্ষের মতোই যার বীজ বা চারা রোপনের প্রয়োজন নেই ঈশ্বরের কৃপা চাইলে ঈশ্বর নিজেই তার মজ্ঞলময় আলো প্রকাশিত করার ব্যবস্তা করে দেন ।শুধু প্রয়োজন তাকে জানার ইচ্ছা ও চেষ্টা ।চেষ্টা থাকলে গুরুর প্রয়োজন লাগে না ।কেউ যদি সফল হয় তা তার সমপূর্ন নিজের কৃতিত্ব এতে গুরুর কৃতিত্ব কতটুকু ?ঐ সাফল্যের কৃতিত্ব ৯৮%ই ঐ সফল লোকটির নয় কি ? নিজ চেষ্টাতে লক্ষে পৌছানোর উদাহরণ পৃথিবীতে প্রচুর ,মহাভারতের গুরুবিহীন একলব্যের পৃথিবীর সেরা তীরন্দাজ হওয়ার সাধনায় সফল হওয়া এমনই একটি উদাহরণ ।
.
৬)ॐ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের সর্বোক্তম ও সর্বোচচ নাম ।গীতা ৮,১০ এবং ৮,১৩ অধ্যায়ে বলা আছে ঈশ্বরের ॐ নাম জপ করার জন্য তাছাড়া তিব্বতি মহাযানী বুদ্ধরা ॐ নাম জপ করে থাকে ।ঈশ্বরের নাম না জপে কেন গুরুদের স্বআবিষ্কৃত নাম জপ করবেন?
যুক্তি প্রদানে: The Sonaton Religion