রাম সেতু ৷ আধুনিক বিজ্ঞানের স্বীকৃত ভগবান শ্রী রামের তৈরী সেতু ৷

রাম-সেতু

ভারতের রামেশ্বরম থেকে শ্রীলংকার মান্নার দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত অগভীর সমুদ্রগর্ভে চূনাপাথরের স্তরটি রামসেতু বলে পরিচিত৷ এর অস্তিত্ব কি হিন্দুদের একটা ধর্ম বিশ্বাস নাকি বৈজ্ঞানিক দিক থেকে এর সত্যতা আছে? 

বিতর্কটা আসলে শুরু হয়েছিল বছর দশেক আগে, যখন কংগ্রেস-জোট সরকার এর সত্যতা অস্বীকার করে৷ সম্প্রতি এক অ্যামেরিকান টিভি চ্যানেল দাবি করে, রামসেতু নিয়ে করা এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে হিন্দু পুরাণে যেটাকে রামসেতু বলা হয়েছে, তার পেছনে বৈজ্ঞানিক সত্যতা আছে৷ এমনকি তাদের দাবি, শ্রীরাম যে এই সেতু বানিয়েছিলেন তার বাস্তব প্রমাণও পাওয়া গেছে৷


মার্কিন পুরাতাত্ত্বিকদের উদ্ধৃত করে ঐ টেলিভিশন সংস্থার বিজ্ঞান বিষয়ক চ্যানেলে বলা হয়, দক্ষিণ ভারতের রামেশ্বরমের কাছে পামবন দ্বীপ থেকে শ্রীলংকার উত্তর উপকূলের মান্নার দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পক-প্রণালীতে চূণাপাথরের যে রেখা চলে গেছে, সেটা আদতে মানব-সৃষ্ট৷ ভূ-প্রাকৃতিক নয়৷ 

নাসার উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি এবং অন্যান্য প্রমাণ উদ্ধৃত করে পুরাতাত্ত্বিকরা প্রমাণ করেছেন, এই সেতু নির্মাণে যে শিলাখণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে তার বয়স আনুমানিক সাত হাজার বছর প্রাচীন এবং তা সংগ্রহ করা হয়েছিল অন্য জায়গা থেকে৷ জানা গেছে, অগভীর সমুদ্র গর্ভস্থ বালুরাশির বয়স হবে প্রায় চার হাজার বছর৷



বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বালি এবং পাথরের প্রাচীনত্বের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা, অর্থাৎ যে বালুরাশির ওপর শিলাখণ্ডগুলি বসানো হয়েছিল তা বালির বয়সের চেয়ে পুরনো৷ কাজেই সেটা যে মানুষের তৈরি বিজ্ঞান এই তত্ত্বই প্রমাণ করে৷ জানিয়েছেন ওরেগন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতত্ত্ব বিষয়ক ইতিহাসবিদ চেলসা রোজ৷ ভূ-তাত্ত্বিক অ্যালান লেস্টার মনে করেন, এই ধরনের দীর্ঘ সেতু বানানো অতি-মানব শক্তি ছাড়া সম্ভব নয়৷
By : DW
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন