কর্নাটকের শিমোগা জেলার মাত্তুর এবং হোসাল্লি দুই গ্রামেই দেখা হলে বলা হয় 'কথমস্থি'? অর্থাৎ কেমন আছেন? এমনকী‚ দোকানে দোকানে জিনিসপত্রের প্যাকেটের গায়ে নির্দেশিকাও লেখা থাকে সংস্কৃতে। বাড়িতে আসা অতিথিকে প্রশ্ন করা হয়‚ 'কফি ভা চায়ম‚ কিম ইচ্ছসি ভবন?' অর্থাৎ আপনি চা‚ না কফি‚ কী নেবেন ? মোবাইলে কথোপকথনের ভাষাও এখানে সংস্কৃত। শুধু‚ যুগের প্রয়োজনে সহজ কথ্য রূপ পেয়েছে সেই সকল ভাষার মাতা।
ঠিক একই ছবি মধ্যপ্রদেশের ঝিরি‚ মোহাদ আর বঘুওয়াড়ে ‚ এবং রাজস্থানের গনওয়াড়াতেও | এই সব গ্রামেই সমাজের সব স্তরের ভাব আদান প্রদানের একমাত্র মাধ্যম হল বিস্মৃতপ্রায় সংস্কৃত |
তবে এসবের মাঝে আছে ছন্দোপতনের শব্দও | এই গ্রামগুলোয় পালন করা হয় বৈদিক যুগের জীবনযাত্রা | ব্রাহ্মণদের জন্য বিশেষ সম্মান তো অবশ্যই।
তবু এভাবেই বয়ে চলেছে তাদের জীবনযাত্রা | একদিকে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় দেবভাষাকে | নতুন প্রজন্ম সংস্কৃতকে হাতিয়ার করেই মুখোমুখি হচ্ছে বাইরের দুনিয়ার | চেষ্টা চলছে দুই প্রজন্মের মধ্যে সেতুবন্ধনের | ভালবেসেই সবাই আপন করে নিয়েছে ভাস‚ ভবভূতির ভাষাকে | তাদের জীবনযাত্রার গল্প বলতে বলতেই আপন মনে বয়ে চলেছে তুঙ্গভদ্রা । মোহনার দিকে।
আসুন আমরাও সেই মূলে ফিরি, আমাদের সন্তানদের সনাতন জ্ঞান-বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, ও সঠিক সনাতন ধর্মের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলি। তবেই আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা এবং আমাদের সনাতন ধর্মের সুনাম রাখতে পড়ব। হিন্দুদের টিকিয়ে রাখতে পারব।
চলুন SVS এর সাথে, আসুন ঋত-ঋদ্ধির পথে।