হাজারো প্রশ্নের মধ্য এ এক প্রশ্ন! যে প্রশ্নের উত্তরের সন্ধান আমরা প্রতিনিয়ত করে থাকি।
"জীবনের উদ্দেশ্য মোক্ষলাভ বা পরমগতি বা ব্রহ্মপ্রাপ্তি।"
আসুন এ উত্তরের সন্ধানে....
"ব্রহ্মৈব সন্ ব্রহ্মাপ্যেতি"
বৃহ আরণ্যক উপনিষদ (৪.৪.৬)
অর্থাৎ ব্রহ্মের ন্যায় হইতে পারিলে তবেই ব্রহ্মপ্রাপ্তি বা মোক্ষলাভ বা পরমগতি প্রাপ্ত হয়।
এ কথার ভিত্তিতে শ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন,
"ঈশ্বর-উপলব্ধি বা ঈশ্বরলাভই মানবজীবনের পরম লক্ষ্য।"
"ঈশ্বর-উপলব্ধি বা ঈশ্বরলাভই মানবজীবনের পরম লক্ষ্য।"
ঈশ্বর কি বাইরের কোনো বস্তু যা আমার হাতে নেই, আমি সেটি কোনরকমে অর্জন করব? না, আমার মধ্যেই ঈশ্বর আছেন।সেখানে তাকে খুজে পেতে হবে, আবিষ্কার করতে হবে।
"ব্রহ্ম বেদ ব্রহ্মৈব ভবতি"
☞মুন্ডকোপনিষদ (৩.২.৯)
অর্থাৎ ব্রহ্মকে যিনি জানেন তিনি ব্রহ্মকে হয়ে যান।
আসুন আমরা গভীরভাবে উপলব্ধি করার চেস্টা করি....
ব্রহ্মকে যিনি জানেন তিনিই সৎ মানুষ।কারণ মানুষ যখন বুঝতে পারে ব্রহ্ম কি? তখন তার মাঝে দেবত্বভাব প্রকাশ পায়। আর যার মধ্যে দেবত্ব ভাব প্রকাশ পায় সেইত সৎ মানুষ।
আর হইত বুঝিয়ে বলার দরকার নেই সৎ মানুষ কাকে বলে।
অনেকের মুখে শোনা যায় ঈশ্বরের নাম নিলে বা মৃত্যুকালে ঈশ্বরের স্মরণ করলে মোক্ষলাভ হয়।
☞আসুন শ্রীমদ্ভগবত গীতায় কি বলা হচ্ছে চলুন দেখি...
"ইন্দ্রিয়ের সবকটি দ্বার সংযত করে মনকে হৃদয়ের নিরুধ্য করে ভ্রুদ্বয়ের মধ্যে প্রাণ স্থাপন করে যোগে স্থীত হতে হয়ে পবিত্র ওঁম-ঙ্কার এই একাক্ষর ব্রহ্ম উচ্চারণ করতে করতে কেউ যদি পরমেশ্বরকে স্মরণ করে দেহত্যাগ করেন, তিনি অবশ্যই পরমগতি অর্থাৎ মোক্ষ লাভ করেন।
☞শ্রীমদ্ভগবতগীতা (৮.১৩)
☞শ্রীমদ্ভগবতগীতা (৮.১৩)
আসুন একটু গভীর তত্ত্ব উপলব্ধি করি।
যে ব্যক্তি নিজের সব কয়টি ইন্দ্রিয় সংযত করতে পারেন তিনিই ত সৎ মানুষ। তাই নয় কি?
এখানে শ্রীকৃষ্ণ শুধু মৃত্যের সময় ওঁ উচ্চারণ করলে মোক্ষলাভ পরমগতি প্রাপ্ত হবে এটা বলেননি।
সৎ মানুষ হতেই পারলে সেই ত মৃত্যুের সময় ঈশ্বরকে স্মরণ করবে একজন খারাপ মানুষ ত আর স্মরণ করবেনা।কারণ তার মাঝে ত আর ঈশ্বরের স্মরণ আসবেনা।
সনাতন ধর্ম আপনার মধ্যে দেবত্বভাব প্রকাশ করতে নির্দেশ দিচ্ছে। ভাল মানুষ হওয়া এটাই আপনার জীবনের লক্ষ্য।
তাই বেদে ঈশ্বরের নির্দেশ
" মনুর্ভব জনয়া দৈব্যং জনম্" -
☞ঋগবেদ ১০.৫৩.৬
অর্থাৎ প্রকৃত মানুষ হও এবং অন্যকেও মানুষ হিসেবে গড়ে তোল।
এবার আপনিই বিচার করুন।
বিজয় বিদ্যার্থী
☀সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, চট্টগ্রাম☀