আজকের সমাজে ভাল মানুষ হওয়ার চাইতে মৃত্যুর পর পরকালে কি পাবে তার আশায় চিন্তায় মগ্ন।
তাই যে মানুষ টা সারাটা জীবন ধর্ম পথে না থেকে মানুষের ক্ষতি করে যায় ,সেও স্বর্গপ্রাপ্তির আশায় মৃত্যুকালে ইশ্বরের স্মরণ করে।
আসুন শ্রীমদ্ভগবত গীতায় কি বলা হচ্ছে চলুন দেখি...
"ইন্দ্রিয়ের সবকটি দ্বার সংযত করে মনকে হৃদয়ের নিরুধ্য করে ভ্রুদ্বয়ের মধ্যে প্রাণ স্থাপন করে যোগে স্থীত হতে হয়ে
পবিত্র ওঁম-ঙ্কার এই একাক্ষর ব্রহ্ম উচ্চারণ করতে করতে কেউ যদি পরমেশ্বরকে স্মরণ করে দেহত্যাগ করেন, তিনি অবশ্যই পরমগতি অর্থাৎ মোক্ষ লাভ করেন।
শ্রীমদ্ভগবতগীতা (৮.১২-১৩)
আসুন একটু গভীর তত্ত্ব উপলব্ধি করি।
যে ব্যক্তি নিজের সব কয়টি ইন্দ্রিয় সংযত করতে পারেন তিনিই ত সৎ মানুষ।
এখানে শ্রীকৃষ্ণ শুধু মৃত্যেুর সময় ওঁ উচ্চারণ করলে মোক্ষলাভ বা পরমগতি প্রাপ্ত হবে এটা বলেননি।
সৎ মানুষ হতেই পারলে সেই ত মৃত্যুের সময় ঈশ্বরকে স্মরণ করবে একজন খারাপ মানুষ ত আর স্মরণ করবেনা।কারণ তার মাঝে ত আর ঈশ্বরের স্মরণ আসবেনা।
"ব্রহ্ম বেদ ব্রহ্মৈব ভবতি"
মুন্ডকোপনিষদ (৩.২.৯)
অর্থাৎ ব্রহ্মকে যিনি জানেন তিনি ব্রহ্মকে হয়ে যান।
আসুন আমরা গভীরভাবে উপলব্ধি করার চেস্টা করি....
ব্রহ্মকে যিনি জানেন তিনিই সৎ মানুষ।কারণ মানুষ যখন বুঝতে পারে ব্রহ্ম কি? তখন তার মাঝে দেবত্বভাব প্রকাশ পায়। আর যার মধ্যে দেবত্ব ভাব প্রকাশ পায় সেইত সৎ মানুষ।
আর হইত বুঝিয়ে বলার দরকার নেই সৎ মানুষ কাকে বলে।
" মনুর্ভব জনয়া দৈব্যং জনম্"
ঋগবেদ ১০.৫৩.৬
অর্থাৎ প্রকৃত মানুষ হও এবং অন্যকেও মানুষ হিসেবে গড়ে তোল।
এবার আপনিই বিচার করুন।
বিজয় বিদ্যার্থী
সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ