সনাতন ধর্মের মানুষ নিজেকে আমি বলে সম্মোধন করে। কিন্তু আমরা কেউ কি জানি বর্ণভেদে আমাদের সনাতন ধর্ম মতে " আমি " দ্বারা কাকে বোঝানো হয় ? চলুন তাহলে আজ জেনে আসি সনাতন ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বেদের মধ্যে কি বলা হচ্ছে।
যথেমাং বাচং কল্যাণীমাবদানি জনেভ্যঃ।
ব্রহ্মরাজন্যাভ্যাং শুদ্রায় চার্যায় চ স্বায় চারণায়চ।
প্রিয়ো দেবানাং দক্ষিণায়ৈ দাতুরিহ ভূয়াসময়ং মে কামঃ সমৃধ্যতামুপ মাদো নমতু।।
( শুক্লযজুর্বেদ-২৬/২)
অনুবাদঃ যেহেতু আমি ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, শুদ্র, বৈশ্য আত্মীয়, অনাত্মীয় সকলের প্রতি মিষ্টি কথা বলি, অতএব দেবগণের ও দক্ষিণাদাতার আমি প্রিয় হব। আমার এ কামনা সফল হোক।
এখানে বলা হচ্ছে আমিই ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, শুদ্র, বৈশ্য।অতএব অনেক আগে জাত পাত বা বর্ণ এসব ছিলো না।এগুলো মানুষের তৈরি। ইদানিং কিছু টাইটেলধারী মুখে জাত বিভাজন দেখা যায়।
এসব নিপাত যাক। এবং বিবাহ ক্ষেত্রেও এসব যেন না আসে। তাই জাতপাত দূর কর হিন্দু হলে বিয়ে কর।
এমনকি গীতায় শ্রীকৃষ্ণ যোগযুক্ত অবস্থায় অর্জুনকে বলেছেন ----------
চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টিং গুণকর্মবিভাগশঃ।
তস্য কর্তারমপি মাং বিদ্ধ্যকর্তারমব্যয়ম্।।
(গীতা-৪,১৩)
অনুবাদ-ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্র -- এই বর্ণচতুষ্টয় গুণ এবং কর্মের বিভাগ অনুসারে অামি সৃষ্টি করেছি। সৃষ্টির -কর্মের কর্তা হলেও অবিনাশী, পরমেশ্বররূপ আমাকে তুমি প্রকৃতপক্ষে অকর্তা বলেই জানবে।
এখানে বলা হচ্ছে গুণ এবং কর্মে বর্ণ নিদ্ধারণ করা হয়েছে।
আর আমরা বেদের কিছু মন্ত্র দেখলে ওখানে দেখতে পাই যে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়,শুদ্র ও বৈশ্য এর কাজ কি কি।
শ্রী রিগ্যান নাথ
সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, চট্টগ্রাম