প্রতিমাপূজার রেফারেন্স
ঈশ্বরকে সাকার ও নিরাকার উপাসনা করতে পারেন তা কোননা কোন মাধ্যমে মধ্য দিয়ে আমাদের অতি অবশ্যই যে নিরাকার এবং সাকার উপাসনা দুইটোই দরকার আছে।
হিন্দুরা মূর্তিপূজা করে প্রতিমাপূজা করে। চিত্র না এঁকে উপপাদ্য প্রমাণ করা কঠিন চিত্র থাকলে প্রমাণ করা সহজ। তাই এখানে উদাহরণ সাক্ষ্য করে একটি যুক্তি বলছি আমরা অাগুনকে এমনিতেই ধারণ করা যায় না তাই তার জন্য একটা মাধ্যম দরকার যেমন (কাঠ, কয়লা, কাগজ, সলতে) ব্যবহার করতে হয়। ঠিক তেমনি কোন মাধ্যম ছাড়া ঈশ্বরকে নিরাকার উপাসনা করা যায়। ঠিক আবার মাধ্যম দিয়েও সাকার উপাসনা করা যায়। কিন্তু মূর্তি বা প্রতিমার সামনে থাকলে ঈশ্বরকে উপলব্ধি করা সহজ হয় তাই এখানে প্রকৃত পক্ষে মূর্তিকে বা প্রতিমাকে পূজা করা হয় না। ঈশ্বরকে কল্পনা করেই পূজা করা হয়। প্রতিমা মূর্তি শুধুমাত্র মনকে স্থির করে।
তাই আমরা প্রাথমিক স্তরে প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। যেমন পদার্থবিজ্ঞানে সরল দোলক নামে একটি কনসেপ্ট আছে, যার সংজ্ঞা অনুযায়ী বাস্তবে পাওয়া অসম্ভব, কিন্তু ঠিকই জাগতিক বস্তুর মাধ্যমে মডেল বের করে তার সূত্র নিরূপন হয়েছে, যা দিয়ে অভিকর্ষজ ত্বরণ (G) এর মানের মত গুরুত্বপূর্ণ মান বের করা হয়েছে সফল ভাবে। কাজেই ঈশ্বরকে যাঁরা ধরতে চান, তাঁরা মূর্তির রূপে ধারণ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তা আছে। আর যাঁরা তাঁকে সর্বব্যাপী জেনেই সন্তুষ্ট, তাঁদের জন্য অনাবশ্যক।
বৈদিক শাস্ত্রে মূর্তি বা প্রতিমা ছাড়া উপাসনার কথা বলা আছে, তবে বর্তমানে স্থান কাল ও পাত্রভেদে প্রতিমা দিয়ে সকলে আরাধনা করা শ্রেষ্ঠ।
#গীতাতে_বলছে_উপাসনা_ক্রমেই_পূজা_প্রাধান্য
হে পার্থ! যে আমাকে যে-ভাবে উপাসনা করে, আমি তাহাকে সেই ভাবেই তুষ্ট করি। মনুষ্যগণ সর্বপ্রকারে আমার পথেরই অনুসরণ করে অর্থাৎ মনুষ্যগণ যে পথই অনুসরণ করুক না কেন, সকল পথেই আমাতে পৌঁছিতে পারে। (গীতা, ৪/১১)
ইহলোকে যাহারা কর্মসিদ্ধি কামনা করে তাহারা দেবতা পূজা করে, কেননা মনুষ্যলোকে কর্মজনিত ফললাভ শীঘ্রই পাওয়া যায়। (গীতা, ৪/১২)
(গীতা, ৪/১১-১২) শ্লোক নিয়ে ব্যাখ্যা)
"হে পার্থ! সংসার বিমুখ যে মানুষ যে মনোভাবে আমার শরণ গ্রহণ করেন, আমি তাঁর সঙ্গে সেই মতোই ব্যবহার করে থাকি। আমার এই ব্যবহারের প্রভাব জগতের সকল মানুষের ওপরই পড়ে, যার ফলে তাঁরাও স্বার্থবুদ্ধি এবং অহং-অভিমান পরিত্যাগ করে অন্যের হিতার্থে তৎপর হন"।।
"মনুষ্যগণের মধ্যে সাংসারিক আসক্তি আসায় ইহলোক তাঁরা কর্মফলের আকাঙ্ক্ষা করেন। তাই তাঁর দেবতার উপাসনা ও পূজা করেন। কারণ ইহলোকে কর্মজনিত সিদ্ধি ফল শীঘ্রই লাভ করা যায়"।।
(গীতা, ৪/১১-১২)
এই শ্লোক নিয়ে ছোট যুক্তি
এই শ্লোক নিয়ে ছোট যুক্তি
যেমন মোবাইলে কথা বলার সময় মোবাইলে চুমু দিলে
যদি গার্লফ্রেন্ড দূর থেকে খুসি হয়, তবে মূর্তির সামনে ভক্তিভরে অারাধনা করলে ঈশ্বর খুসি হবে না কেন?এছাড়া সাকার-নিরাকার উনাকে যে ভাবেই ভজনা করে উনি সেভাবেই থাকে তুষ্টকরে থাকেন।
যদি গার্লফ্রেন্ড দূর থেকে খুসি হয়, তবে মূর্তির সামনে ভক্তিভরে অারাধনা করলে ঈশ্বর খুসি হবে না কেন?এছাড়া সাকার-নিরাকার উনাকে যে ভাবেই ভজনা করে উনি সেভাবেই থাকে তুষ্টকরে থাকেন।
সনাতন ধর্মে পূজা মানে কি?
আমাদের নিজের হৃদয়ে ঈশ্বরকে পুনঃ জাগরণ করাকে পূজা বলা হয়। এখানে প্রতিমার দরকার হয় না শুধু পূজা করলেই হয় যেকোনো মাধ্যম ধরে পূজার সাথে প্রতিমার মূলত কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন পূজা মূর্তি বা প্রতিমাকে সামনে রেখে হতে পারে, নিজ সামনে একটি ঘট রেখেও হতে পারে এবং কোন ছবি বা পটকে নিজ সামনে রেখেও হতে পারে। আবার কোন প্রতীক বা মূর্তি প্রতিমা ছাড়াও নিজ মনে মনে ধারনাও পূজা হতে পারে যাকে বলা হয় মানসপূজা। পূজার উদ্দেশ্য হল পূর্ণতার দিকে চলা।
"পূজা" কথাটির সকলের মধ্যেই তা নিহিত আছে।
পূ— মানে পূর্ণ
জা— মানে জাগরণ
পূ— মানে পূর্ণ
জা— মানে জাগরণ
"পূজা = পূর্ণ জায়তে ইতি পূজা"
অর্থাৎ যাহা হইতে পূর্ণতা প্রাপ্ত হওয়া যায়, যাহা পূর্ণতা প্রাপ্ত করায়, বা যাহার দ্বারা পূর্ণতা আসে।
অর্থাৎ যাহা হইতে পূর্ণতা প্রাপ্ত হওয়া যায়, যাহা পূর্ণতা প্রাপ্ত করায়, বা যাহার দ্বারা পূর্ণতা আসে।
বৈদিক প্রতিমা শব্দের অর্থ কী?
"প্রতিমানং প্রতিবিম্বং প্রতিমা প্রতিয়াতনা প্রতিচ্ছায়া।।
প্রতিকৃতিরর্চা পুংসি প্রতিনিধি রূপমোপমানং স্থাত্।"
(অমরকোষ, ২/১০/৩৫-৩৬)
প্রতিকৃতিরর্চা পুংসি প্রতিনিধি রূপমোপমানং স্থাত্।"
(অমরকোষ, ২/১০/৩৫-৩৬)
অনুবাদঃ— প্রতিমান, প্রতিবিম্ব, প্রতিমা, প্রতিয়াতনা, প্রতিচ্ছায়া, প্রতিকৃতি, অর্চা, প্রতিনিধি- সনাতন ধর্মের বৈদিক অভিধানে এই আট নামই প্রতিমার শব্দ।
(অমরকোষ ২/১০/৩৬-৩৬) নিয়ে ব্যাখ্যা)
উৎকৃষ্ট উদাহরণ বা আদর্শ রীতি; আদর্শ হিসাবে গৃহীত কোনো বস্তু প্রতি যেকোনো ব্যক্তি ধারণা করে ঈশ্বরের কোনো রূপের সাদৃশ্য কল্পনায় গঠিত নির্মিতে দেবমূর্তি প্রতিফল উপমা স্পষ্ট বর্ণনা উপাস্য দেবতা ব্যক্তি বাস্তু অনুকল্প।
(বেদান্তবাদের আধুনিক জনক শঙ্করাচারর্য)
কখনো ভুল হতে পারেন না
কখনো ভুল হতে পারেন না
বেদান্তবাদী শংকরাচার্য নিজের মঠ গুলিতে সরস্বতী পূজা ও পঞ্চমতের পূজা পদ্ধতি প্রচলন করেছিলেন। শঙ্করাচার্য প্রবর্ত্তিত পৌরানিক ধর্ম মতে মূর্ত্তিপূজা করা হয়। পুরানে মূর্ত্তিপূজার কথা বলা হয়েছে, বেদে বা তন্ত্রে মূর্ত্তিপূজার কথা বলা হয় নি। পবিত্র বেদে বলা হয়েছে—
“ঈশ্বরস্য প্রতিমা নাস্তি”।
ঈশ্বরকে অন্য কোন কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। প্রতিমা মানে তুলনা।
প্রতিমা
প্রতিমা কথার অর্থ মুর্তি নয়। প্রতিমা কথার অর্থ মায়ের প্রতিরূপ। প্রতিমা মানে তুলনা, প্রতিমা শব্দের অর্থ সদৃশ বা অনুরুপ৷ তাই উক্ত মন্ত্রের প্রকৃত অর্থ “ঈশ্বরের সদৃশ বা অনুরূপ কেহ নাই”৷
প্রতিমা নিয়ে যুক্তি
যেমন আপনি নিজের মায়ের প্রতিরূপ অন্য মায়ের প্রতিরূপের সাথে কখনো তুলনা করতে পারবে না এবং একই মা কখনো তুলনা হতে পারে না তেমনি ঈশ্বরের সদৃশ বা অনুরূপ কেহ হতে পারে না তর্কের খাতিরে যদি স্বীকার করি যে ঈশ্বরের কোন প্রতিমা নেই, তবুও প্রতিমা বা মূর্ত্তিপূজা নিষেধ ঘোষিত হয় না যে আপনারা করতে পাবেন না৷
মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য বলেছেন—
“দ্যোততে ক্রীড়তে যস্মাদুদ্যতে দ্যোততে দিবি।
তস্মাদ্দেব ইতি প্রোক্তঃ স্তূয়তে সর্ব দেবতৈঃ”।।
তস্মাদ্দেব ইতি প্রোক্তঃ স্তূয়তে সর্ব দেবতৈঃ”।।
অর্থাৎ— যার দ্বারা সৃষ্টি-স্থিতি-লয় একীভূত হয় তাকেই ‘দেব’ নামে অভিহিত করা হয়। আসলে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে যা কিছু হয়েছে, হচ্ছে ও হবে তার জন্যে বিশেষ বিশেষ ক্রিয়া ব্রহ্মেরই মানস ক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। ব্রহ্মের এই এক এক ধরণের অভিব্যক্তিকে এক একটা ‘দেব’ বলা হয়।
ব্রহ্ম রূপে প্রতিমা
রূপং রূপং প্রতিরূপো বভুব তদস্য রূপং প্রতিচক্ষণায় ৷
ইন্দ্রো মায়াভিঃ পুরুরূপ ঈয়তে যুক্তা হস্য হরয়াঃ শতা দশ ৷।
(ঋগ্বেদ, ৬/৪৭/১৮)
ইন্দ্রো মায়াভিঃ পুরুরূপ ঈয়তে যুক্তা হস্য হরয়াঃ শতা দশ ৷।
(ঋগ্বেদ, ৬/৪৭/১৮)
অনুবাদঃ— “রূপে রূপে প্রতিরূপ (তাহার অনুরূপ) হইয়াছেন, সেই ইহার রূপকে প্রতিখ্যাপনের (জ্ঞাপনের) জন্য ইন্দ্র মায়াসমূহের দ্বারা বহুরূপ প্রাপ্ত হন। যুক্ত আছে ইহার অশ্ব শত দশ (অর্থাৎ সহস্র)৷”
পদার্থঃ— (ইন্দ্রঃ) জীবাত্মা (রূপং-রূপং প্রতিরূপ
বভুব) প্রত্যেক প্রানির রূপে তদাকার হয়ে বিরাজমান
হন। (তত্ অস্য রূপং প্রতি চক্ষনায়) তাহা এই রূপে
আধাত্ম দৃষ্টি দ্বারা দেখায় যোগ্য। এই জীবাত্মা (সায়াভি) নানা বুদ্ধি দ্বারাই (পুরু-রূপঃ ইয়তে) নানা রূপের জানা যায়। (অস্য ইহার শাসনে, দেহ মধ্যেই (দশ শতা হরয়ঃ) দশ শত প্রানগন অশ্ব বা ভূত্যের সমান (যুক্তাঃ) যুক্ত জ্ঞান তন্তু তথা শক্তিতন্তু রূপে কাজ করে।
বভুব) প্রত্যেক প্রানির রূপে তদাকার হয়ে বিরাজমান
হন। (তত্ অস্য রূপং প্রতি চক্ষনায়) তাহা এই রূপে
আধাত্ম দৃষ্টি দ্বারা দেখায় যোগ্য। এই জীবাত্মা (সায়াভি) নানা বুদ্ধি দ্বারাই (পুরু-রূপঃ ইয়তে) নানা রূপের জানা যায়। (অস্য ইহার শাসনে, দেহ মধ্যেই (দশ শতা হরয়ঃ) দশ শত প্রানগন অশ্ব বা ভূত্যের সমান (যুক্তাঃ) যুক্ত জ্ঞান তন্তু তথা শক্তিতন্তু রূপে কাজ করে।
দ্বে বাব ব্রহ্মণো রূপে মূর্তং চৈবামূর্তং চ মর্ত্যং চামৃতং চ স্থিতং চ যচ্চ সচ্চ ত্যচ্চ।।
(বৃহদারণ্যক উপনিষদ, ২/৩/১)
(বৃহদারণ্যক উপনিষদ, ২/৩/১)
অনুবাদঃ— ব্রহ্মের দুইটি রূপ, মূর্ত ও অমূর্ত, মর্ত্য ও অমৃত, স্থিতিশীল ও গতিশীল, সৎ (সত্তাশীল) ও ত্যৎ (অব্যক্ত)।
অগ্নির্যথৈকো ভুবনং প্রবিষ্টো রূপং রূপং প্রতিরূপো বভুব৷
একস্তথা সর্বভূতান্তরাত্মা রূপং রূপং প্রতিরূপো বহিশ্চ৷৷
একস্তথা সর্বভূতান্তরাত্মা রূপং রূপং প্রতিরূপো বহিশ্চ৷৷
(কঠউপনিষদ, ২৷২৷৯)
অনুবাদঃ— “অগ্নি যেমন এক হয়েও ভুবনের মধ্যে প্রবেশ করে রুপে রুপে বহুরুপ হয়ে আপনাকে ধরে দিয়েছে, তেমনি সর্বভূতের অন্তরস্থ অন্তরাত্মা এক হয়েও বাহির অবধি ভিন্ন ভিন্ন রুপ গ্রহণ করেছে ৷”
বায়ুর্যথৈকো ভুবনং প্রবিষ্টো রূপং রূপং প্রতিরূপো বভুব৷
একস্তথা সর্বভূতান্তরাত্মা রূপং রূপং প্রতিরূপো বহিশ্চ৷৷
একস্তথা সর্বভূতান্তরাত্মা রূপং রূপং প্রতিরূপো বহিশ্চ৷৷
(কঠউপনিষদ, ২৷২৷১০)
অনুবাদঃ— “বায়ু যেমন এক হয়েও ভুবনের মধ্যে প্রবেশ করে রুপে রুপে বহুরুপ হয়ে আপনাকে ধরে দিয়েছে, তেমনি সর্বভূতের অন্তরস্থ অন্তরাত্মা এক হয়েও বাহির অবধি ভিন্ন ভিন্ন রুপ গ্রহণ করেছে৷”
“রূপং রূপং প্রতিরূপো বভুব৷ অয়মত্মা ব্রহ্ম সর্ব্বানুভূঃ৷”
“রূপং রূপং প্রতিরূপো বভুব৷ অয়মত্মা ব্রহ্ম সর্ব্বানুভূঃ৷”
(বৃহদারণ্যক উপনিষদ, ২৷৫৷১৯)
অর্থাৎ— তিনি প্রতি বস্তুর রুপ ধারণ করিয়াছেন ৷
এই আত্মাই ব্রহ্ম তিনি সর্ব্বগত ৷
এই আত্মাই ব্রহ্ম তিনি সর্ব্বগত ৷
একো বশী সর্বভূতান্তরাত্মা একং রূপং বহুধা যঃ করোতি৷
(কঠউপনিষদ, ২৷২৷১২)
অর্থাৎ— “একক নিয়ন্তা হয়েও এই সর্বভূতের অন্তরাত্মা একই রুপকে বহুধা করে চলেছে ৷”
“যো বিশ্বস্য প্রতিমানং বভুব”
(ঋগ্বেদ, ২৷১২৷৯)
অর্থাৎ— তিনি নিখিলের প্রতিমা হইয়াছিলেন ৷
(ঋগ্বেদ, ২৷১২৷৯)
অর্থাৎ— তিনি নিখিলের প্রতিমা হইয়াছিলেন ৷
সুতরাং এখানে দেখা যাচ্ছে ঈশ্বরের তুল্য না থাকলেও তিনি সকলের তুল্য থাকতে পারেন।
ত্বং হি নঃ পিতা বসো ত্বং মাতা শতক্রতে বভূবিথ অধাতে সুম্নমীমহে!
পদার্থঃ— তিনি (বসো শতুত্রুতো) সব জায়গায় নিবাস করেন এবং সবকিছু সৎকৃত জ্ঞানে ঈশ্বর!
পদার্থঃ— (ত্বং হি নঃ পিতা) তুমিই আমাদের সত্যকারের পিতা (সৃষ্টিকর্তা) ত্বং, তুমিই মাতা (ধারক)! (অধা)এই জন্য আমাদের সবার (তে) তোমার (সম্নং) উত্তম মনন এবং ভাবনা করা উচিৎ! অতঃ আমরা আপনার থেকে মঙ্গল করি!
এখানে মন্ত্রের ইন্দ্র শব্দে Pro. Wilon, Griffith তথা অনান্যরা ইন্দ্র শব্দে God এবং মায়া অর্থে illusion করেছে।
নিঘন্টু ৩।৯ অনুসারে "মায়া ইতি প্রজ্ঞানাম্"। এবং পাণিনী অনুসারে ইন্দ্র শব্দের অর্থ হচ্ছে জীবাত্মা।
"ইন্দ্রিয়মিন্দ্রলিঙ্গ মিন্দৃষ্টমিন্দ্র সৃষ্ট মন্দ্র জুষ্ট মিন্দ্রদত্তমিতি। (অষ্টাধ্যায়ী, ৫।২।৯৩)
অর্থাৎ— (ইন্দ্রয়ম্) ইন্দ্রয়ম এই শব্দ নিপাতন করা যায়, (ইন্দ্রলি দত্তমিতি) ইন্দ্র লিঙ্গাদি দ্বারা (বা) বিকল্প দ্বারা। ষষ্ঠ সমর্থ ইন্দ্রশব্দ দ্বারা ঘচ্ প্রত্যয়ের নিপাতন করা উচিৎ। উদাহরণ ইন্দ্রস্য লিঙ্গ ইন্দ্রিয়ম, এখানে ইন্দ্র নাম জীবাত্মা, তথা লিঙ্গ নাম চিহ্নের জীবাত্মা চিহ্ন ইন্দ্রিয় বলে।
প্রতিমা প্রতিক্রিয়া
প্রদর্শন করে না কেন তা নিয়ে ছোট একটি যুক্তি
স্থিতিশীল রূপের স্থানে আমরা যদি রাখি এই যে মূর্তি বা প্রতিমা৷ আর গতিশীলের স্থানে আমাদের অস্তিত্ব কল্পনা করি। তাহলে, পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় আমরা জানি, বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করলে, স্থির বস্তু চিরকালই স্থিতিশীল এবং গতিশীল বস্তু চিরকাল গতিশীল হয়। তাহলে যেটা স্থিতিশীল সেটা কি করে প্রতিক্রিয়া দেখাবে? ব্রহ্মের গতিশীল রূপ তো আমরাই, আমাদের কেউ স্পর্শ করলেই যে সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করি। তাই নয় কি? তেমনি প্রতিমা গুলোও ঈশ্বরের স্থিতিশক্তির প্রকাশ, তাই এরা কখনোই প্রতিক্রিয়া দেখায় না।
সাকার ও নিরাকার ঈশ্বরের রেফারেন্স
দেবতাগণ সাকার না নিরাকার মোটামুটি এই রেফারেন্স গুলোতে কিছুটা ধারণা পাবেন হয়তো।
(শাঙ্করভাষ্য বেদান্তসূত্র, ১/১/২০)
মহর্ষি বাদরায়ণ ব্যাসদেব বলেন (বেদান্ত-দর্শন ১/৩/২৭)।
যোগসিদ্ধ এককালে বহু শরীরধারণ করতে পারেন। (যোগদর্শন ৪/৪-৫)।
সাকার ও নিরাকার দেখা যায়
(শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত ১/১৩/৫)।
তথ্যসূত্রঃ শ্রীগুরুদাস বর্ম্মন— (শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথাচরিত্র ১ম ভাগ, পৃঃ ১৫১)।
মহর্ষি বাদরায়ণ ব্যাসদেব বলেন (বেদান্ত-দর্শন ১/৩/২৭)।
যোগসিদ্ধ এককালে বহু শরীরধারণ করতে পারেন। (যোগদর্শন ৪/৪-৫)।
সাকার ও নিরাকার দেখা যায়
(শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত ১/১৩/৫)।
তথ্যসূত্রঃ শ্রীগুরুদাস বর্ম্মন— (শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথাচরিত্র ১ম ভাগ, পৃঃ ১৫১)।
সাকার ও নিরাকার #ঈশ্বরের_বর্ণনা দিয়েছেন
শ্রী রায়ন চক্রবর্তী (শুভ)
#ভিডিওটি দেখুন—
https://youtu.be/E1S-dJ5pqDI
#ভিডিওটি দেখুন—
https://youtu.be/E1S-dJ5pqDI
ওঁ শান্তি ওঁ শান্তি ওঁ শান্তি!
জয় শ্রীরাম
হর হর মহাদেব
SVS
চট্টগ্রাম বিভাগীয় এক্টিভ কর্মী
শ্রী বাবলু মালাকার
(সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, চট্টগ্রাম)