লক্ষ্মীপূজায় যেসকল কাজ ভুলেও করবে না।



কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা অথবা প্রতিনিয়ত লক্ষ্মীপূজা যারা করে অথবা করবে তাদের বিশেষ কয়েকটা নিয়ম যেন অবশ্যই জরুরী। এখনকার মানুষ সঠিক নিয়মের বদলে ,ভুল নিয়মটাই বেশি জানে, এবং সেই কারণে শুভ এর বদলে অশুভ প্রাপ্তি বেশি হয়।

১-লক্ষ্মীপূজায় লোহা বা স্টিলের বাসনকোসন ব্যবহার করবেন না। লোহা দিয়ে অলক্ষ্মী পূজা হয়। তাই লোহা দেখলে লক্ষ্মী ত্যাগ করে যান।

২-লক্ষ্মীপূজায় ঘণ্টা বাজাতে নেই। ঘণ্টার শব্দ শুনলে অশুভ শক্তি চলে যায় ,কিন্তু যেখানে মাতা লক্ষী থাকে সেখানে অশুভ শক্তি আসা তো দূর, নাম ও ধরেনা আসার , ঘন্টা বাজাবে না । তবে শঙ্খ এর সঙ্গে কাশর বাজাতে পারবে আস্তে আস্তে।

৩- লক্ষ্মীকে তুলসীপাতা দিতে নেই। ভুল করেও না । তুলসী হলেন মাতা লক্ষ্মীর অবতার , তিনি প্রভু নারায়ণের পরম ভক্ত, এবং তার স্বামী শঙ্খশুর ছিলেন নারায়ণের অংশে জন্ম, তিনি মহাদেবের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন কিন্তু নারায়ণের অংশ হওয়ার জন্য মহাদেব তাকে বধ করতে পারেনি, তাই নারায়ণ তুলসীর স্বামী সঙ্খসুর এর বধ করার জন্য মহাদেব কে সাহায্য করেছিল,তাই তুলসী কষ্টে এবং দুঃখে নারায়ণ কে অভিশাপ দিয়েছিল ,তিনি যেনো শালগ্রাম শিলা হয়, পত্নীর অভিশাপ তিনি স্বীকার করেছিলেন কিন্তু মাতা লক্ষী সেটা শুনে রেগে গিয়েছিলেন এবং ৩ টি অভিশাপ তুলসী কে দেন , আর মালা লক্ষী তার নিজের অবতার তুলসী কে গৃহে আশ্রম দেইনি। তাই তুলসীর স্থান বাড়ির সামনে উঠানে। যে ঘরের ভিতরে তুলসী থাকে ,সেখানে লক্ষী থাকেনা । কিন্তু লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি তুলসীপাতা দিয়ে নারায়ণকে পূজা করতে হয়।

৪- লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করে, তবে অনেকে সকালেও করে থাকেন। সকালে করলে সকাল ন-টার মধ্যেকরে নেওয়াই ভাল। পূজার পর ব্রতকথা পাঠ করতে হয়। যদি ১০ আচার মানা হয় তবে ১০ টি পন্থা পাবেন ।
তবে অনেকে এটা করেনা এবং জানেনা । তবে এই চারটি নিয়ম অবশ্যই পালন করবেন ,নয়তো সবকিছু উল্টো ফল পাবেন।
নবীনতর পূর্বতন