প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ এখনো পরমাত্মার সম্পর্কে অবগত নয়। তাই তাদের জানানোর জন্য এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। নিচের রেফারেন্স সহ দেওয়া আছে।
এষ দেবো বিশ্বকর্মা মহাত্মা সদা জনানাং হৃদয়ে সন্নিবিষ্টঃ।
হৃদা মনীষা মনসাভিকপ্তো য এতদ্ বিদুরমৃতাস্তে ভবন্তি।।
(শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ্-৪/১৭)
অনুবাদঃ এই বিশ্বকর্তা মহাত্মা পরমেশ্বর সর্বদা সমস্ত মানুষের হৃদয়ে সমগ্র রূপে অবস্থিত তথা হৃদয়দ্বারা বুদ্ধিদ্বারা এবং মনদ্বারা ধ্যানে আনীত হলে প্রত্যক্ষ হন, যে সমস্ত সাধক এই রহস্য জ্ঞাত হন তাঁরা অমৃতস্বরূপ হন।
(শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ্-৪/১৭)
(শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ্-৪/১৭)
এই জীবাত্মার হৃদয়রূপ গুহায় স্থিত পরমাত্মা সূক্ষ্ম থেকে আরও সূক্ষ্ম আর বিরাট থেকেও অতি বিরাট আত্মার সেই মহিমা কামনারহিত আর শোকরহিত সর্বাশ্রয় পরমেশ্বরর কৃপাতে দেখতে পায়।
(কঠোপনিষদ্- ১/২/২০)(শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ্-৩/২০)
(কঠোপনিষদ্- ১/২/২০)(শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ্-৩/২০)
এই পরমেশ্বরের বাস্তবিক স্বরূপ বিষয়াদির মতো প্রত্যক্ষ বস্তু রূপে স্থিত হয় না। এঁকে কেহ চর্মচক্ষু দ্বারা দেখতে পায় না, মনের দ্বারা নিবিষ্টচিত্তের ধ্যানের দ্বারা উপলব্ধ বিশুদ্ধ হৃদয় দ্বারা আর বিশুদ্ধ বুদ্ধিদ্বারা সেই পরমাত্মাকে দেখতে পাওয়া যায়। যাঁরা এঁকে জানেন তাঁরা অমৃতস্বরূপ হয়ে যান।
(কঠোপনিষদ্-২/৩/৯)
(কঠোপনিষদ্-২/৩/৯)
এই অনুবাদে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, ধ্যানে পরমাত্মাকে প্রত্যক্ষ করা যায়।
এই পরমাত্মাকে কেউ না উপর থেকে, না এদিক-ওদিক থেকে এবং না মধ্যভাগে পরিগ্রহণ করতে সক্ষম। যাঁর মহান যশ নাম আছে তাঁর কোনো উপমা নেই।
(শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ্-৪/১৯)
(শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ্-৪/১৯)
এই পরব্রহ্ম পরমাত্মার স্বরূপ দৃষ্টিতে থাকে না, এই পরমাত্মাকে কেউ চক্ষুদ্বারা দেখে না। যে সমস্ত সাধক এই হৃদয়স্থিত অন্তর্যামী পরমেশ্বরকে হৃদয়ে তথা নির্মল মনদ্বারা এইরূপ জানেন তাঁরা অমৃতস্বরূপ অর্থাৎ জন্ম-মৃত্যুরূপ বন্ধন থেকে চিরতরে মুক্ত হন।
(শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ্-৪/২০)
(শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ্-৪/২০)
এই আত্মা না শাস্ত্রোক্ত বাক্যের ব্যাখ্যানের দ্বারা, বুদ্ধির দ্বারা নায়, বহুবার শুনেও বা বিদ্যার্জনের দ্বারা নয়, উপলব্ধিযোগ্য যাকে ইনি স্বীকার করেন তার দ্বারাই লাভযোগ্য কেননা এই আত্মা তার জন্য আপন যথার্থ স্বরূপ প্রকটিত করেন।
(কঠোপনিষদ্-১/২/২৩) (মুণ্ডকোপনিষদ্-৩/২/৩)
(কঠোপনিষদ্-১/২/২৩) (মুণ্ডকোপনিষদ্-৩/২/৩)
কিন্তু এই অব্যক্ত প্রকৃতি, যা জীবাত্মা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, তার থেকেও এঁর যিনি অধীশ্বর পরমপুরুষ পরমাত্মা তিনি শ্রেষ্ঠ। তিনি নিরাকার রূপে সর্বত্র ব্যাপ্ত । তাকে জেনে এই জীবাত্মা প্রকৃতির বন্ধন থেকে মুক্তি লাভের জন্য জীবের উচিত পরব্রহ্ম পরমেশ্বরের শরণ নেওয়া। (গীতা-৯/৪)
পরমাত্মা যেদিন এই জীবের প্রতি করুণা পরবশ হয়ে মায়ার আবরণ সরিয়ে দেন, সেইদিনই তার পরব্রহ্মকে লাভ করা সম্ভব হয়। অন্যথায় এই মূঢ় জীব সর্বদা আপন অন্তরে থাকা সত্ত্বেও সেই পরমেশ্বরের স্বরূপ জানতে পারে না।
(#কঠোপনিষদ্-২/৩/৮)
পরমাত্মা যেদিন এই জীবের প্রতি করুণা পরবশ হয়ে মায়ার আবরণ সরিয়ে দেন, সেইদিনই তার পরব্রহ্মকে লাভ করা সম্ভব হয়। অন্যথায় এই মূঢ় জীব সর্বদা আপন অন্তরে থাকা সত্ত্বেও সেই পরমেশ্বরের স্বরূপ জানতে পারে না।
(#কঠোপনিষদ্-২/৩/৮)
জগতে কেউ ওই পরমাত্মার স্বামী নেই। তাঁর শাসক ও নেই এবং তাঁর চিহ্নবিশেষও নেই। তিনি সকলের পরম কারণ তথা সমস্ত করণের অধিষ্ঠাত্রীগণেরও অধিষ্ঠাতা কেউ এঁর জনক নেই এবং নেই স্বামী।
(শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ্-৬/৯)
(শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ্-৬/৯)
সর্বত্র চক্ষুষ্মান তথা সর্বত্র মুখময়, সর্বত্র হস্তময় এবং সর্বত্র চরণময়, আকাশ এবং পৃথ্বীর স্রষ্টা তিনি একমাত্র পরমাত্মা। মনুষ্যাদি জীবগণকে দু-দুটি হাতে যুক্ত করেন তথা (পক্ষী-পতঙ্গদিকে) ডানাদ্বারা যুক্ত করেন।
(শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ্-৩/৩)(যজুর্বেদ-১৭/১৯)(অথর্ববেদ-১৩/২৬)(ঋগ্বেদ-১০/৮১/৩)
(শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ্-৩/৩)(যজুর্বেদ-১৭/১৯)(অথর্ববেদ-১৩/২৬)(ঋগ্বেদ-১০/৮১/৩)
ওই পরমপুরুষ সহস্র মস্তকবিশিষ্ট সহস্র চক্ষুঃ বিশিষ্ট এবং সহস্র চরণবিশিষ্ট তিনি সম্পূর্ণ জগৎকে সর্বদিকে আবৃত করে নাভীর উর্ধ্বে দশাঙ্গুল পরিমিত হৃদয়দেশে অবস্থিত।(শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ্-৩/১৪)(যজুর্বেদ-৩১/১)(অথর্ববেদ-১৯/৬/৪)(ঋগ্বেদ-১০/৯০/১)
শ্রীরিগ্যান নাথ