আলো সম্পর্কে আমরা সবাই জানি? প্ল্যাঙ্ক এর কোয়ান্টাম তত্ত্ব অনুসারে কিছু ফোটন কণা কোন উৎস হতে গুচ্ছ আকারে যখন প্রবাহ শুরু করে তাই আলো।
আজ হতে ১০২০ বছর পূর্বেও মানুষ মনে করতো, আমাদের চোখে এমন কোন বিশেষ শক্তি আছে,যার দ্বারা আমরা যেকোন বস্তু দেখতে পারি, হয়ত আমাদের চোখ হতেই কোন শক্তি বস্তুতে আঘাত করলে আমরা সেই বস্তু কে দেখতে পাই।
কিন্তু ইরাক এর বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ইবনে আল হেইথাম ১০১১ হতে ১০২১ অব্দি গবেষণার ফল স্বরুপ "Book Of Optics" এ সর্বপ্রথম সর্বজন স্বীকৃত ভাবেই আবিষ্কার করেন,কোন উৎস হতে আলো নিসৃত হয়ে,যখন কোন বস্তুতে প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে প্রবেশ করে,তখনি আমরা সেই বস্তুকে দেখতে পাই। কিন্তু আধুনিক আলোকবিদ্যার সৃষ্টির অনেক আগের বেদ এর দিকে দৃষ্টি আরোপ করেন আপনার ভাবনা অনেক আগেই বদলে যেত!
তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ।
দিবীব চক্ষুরাততম্।। ঋগবেদ, ১/২২/২০
দিবীব চক্ষুরাততম্।। ঋগবেদ, ১/২২/২০
ভাবানুবাদ :- প্রাণীকূল যেমন সূর্য্যের তথা আলোর সাহায্যে শুদ্ধ নেত্র(চক্ষু) দ্বারা মূর্ত্তিমান পদার্থকে দর্শন করে,
ধার্মিক বিদ্বানেরা শুদ্ধ জ্ঞাননেত্র (জ্ঞানচক্ষু) দ্বারা তেমনই নিজের মধ্যেই ঈশ্বর তথা পরমাত্মার পরমপদ সন্দর্শন করেন।
হাজার বছর আগে যা ইবনে আল হেইথাম আবিষ্কার করে গেছেন তা লক্ষ বছর প্রাচীন পরম পবিত্র বেদ এই নিহীত আছে। আসুন আমরা বেদবিদ্যা অধ্যয়ন করি তবে আমরা সকলে সেই গুপ্তজ্ঞান জানতে পারব।
প্রকাশে- শ্রী দিব্য ভট্টাচার্য্য